28 C
Dhaka
Wednesday, July 24, 2024

সখীপুর পৌরসভার বাজেট ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ২০২৪-২৫ অর্থ...

সখীপুর পৌরসভার প্রাক বাজেট ঘোষণা 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর পৌরসভার প্রাক বাজেট ঘোষণা...

সখীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম...

সখীপুরে ৭ মাস আটকে রেখে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ- আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার

সখীপুরসখীপুরে ৭ মাস আটকে রেখে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ- আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় সাত মাস আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে দুই সন্তানের জনক বাদল মিয়া (৪১) নামের এক লম্পট। গত রোববার সন্ধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলার রতনপুর কাশেম বাজার এলাকার একটি নির্জন পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। সখীপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় সাত মাস আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে দুই সন্তানের জনক বাদল মিয়া (৪১) নামের এক লম্পট। গত রোববার সন্ধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলার রতনপুর কাশেম বাজার এলাকার একটি নির্জন পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।  পুলিশ ও ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রতনপুর কাশেমবাজার গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে দুই সন্তানের জনক বাদল মিয়া প্রতিবেশী এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ১১ জানুয়ারি ভোরে তার (বাদল মিয়ার) পরিত্যক্ত একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ ও নেশা জাতীয় খাবার খাইয়ে দীর্ঘ প্রায় সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ সময় তাকে ঠিকমত খাবার দেওয়া হয়নি। সবসময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রাখা হতো। অন্যদিকে প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে বাদল মিয়ার ছিল সখ্যভাব। নিয়মিত সে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। পরিবারের বদনাম হওয়ার ভয় দেখিয়ে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতেও দেয়নি অভিযুক্ত বাদল মিয়া।  গত রোববার বিকেলে কয়েকজন শিশু খেলতে গিয়ে কান্নার শব্দ শুনে জানালার ফাঁক দিয়ে ওই ছাত্রীকে দেখতে পায়। ওই শিশুরা বিষয়টি জানালে পরিবার ও স্থানীয়রা ঘরের তালা ভেঙে জীর্ণশীর্ণ অসুস্থ্য অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, ‘প্রতিবেশী বাদল আমাকে একটি ঘরে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতন করেছে। তিন-চার দিন পরপর আমাকে পাউরুটি, কেক, বিস্কুট ও জুস দেওয়া হতো। ওইসব খাবার পর আমি অচেতন হয়ে পড়তাম।’ ওই ছাত্রীর ভাই সুমন মিয়া মানবজমিনকে বলেন, ‘প্রতিবেশী ও আপনজন হয়ে বাদল আমার বোনের সর্বনাশ করেছে। ডাক্তার বলেছেন- আমার বোনের অবস্থা বেশী ভালোনা। আমি ওই লম্পটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, ‘কলেজ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ মেয়েটিকে উদ্ধারের পর থেকেই অভিযুক্ত বাদল মিয়া পলাতক রয়েছে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles