সাইফুল ইসলাম সানি: সখীপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং সরকারি তথ্য ও সেবা ৩৩৩ এ ফোন দিয়ে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো তিন ছাত্রী। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ওই তিন ছাত্রীকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। পরে অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইউএনও ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের এক আইনজীবীর সঙ্গে সখীপুর পাইলট সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান শিম্মীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বিয়েতে ইসরাতের মত না থাকায় সে ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চায়। পুলিশ কালিয়া গ্রামের মামার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে ইসরাতের মা হালিমা ও মামা মাসুমকে থানায় নিয়ে আসে।
একই রাতে বাসাইল উপজেলার মোতাহার আলীর ছেলে সুমনের (৩২) সঙ্গে সখীপুর উপজেলার দেওবাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রাবেয়ার (১৫) বিয়ের আয়োজন চলছিল। কোনো এক প্রতিবেশী ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে রাবেয়ার মা-বাবাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে।
অন্যদিকে উপজেলার নামদারপুর ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মোমেনা আক্তার (১৪) নিজের বিয়ে ঠেকাতে সরকারি তথ্য ও সেবা ৩৩৩ এ ফোন দিলে পুলিশ তার বিয়েও বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সহযোগিতায় মোমেনাকে থানায় তুলে আনেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, রাতে ওই তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের এনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সতর্ক করে দিয়ে মুচলেকা রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করে ওই তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এসবি/সানি