29 C
Dhaka
Thursday, July 25, 2024

সখীপুর পৌরসভার বাজেট ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ২০২৪-২৫ অর্থ...

সখীপুর পৌরসভার প্রাক বাজেট ঘোষণা 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর পৌরসভার প্রাক বাজেট ঘোষণা...

সখীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম...

সুনাম আর ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠান জনতা উচ্চ বিদ্যালয়

বাংলাদেশেশিক্ষাসুনাম আর ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠান জনতা উচ্চ বিদ্যালয়

এম. সাইফুল ইসলাম শাফলু: জনতা উচ্চ বিদ্যালয়। সখীপুর থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে  সখীপুর-সীডস্টোর সড়ক ধরে মনোরম সবুজ শাল-গজারি আর সামাজিক বনায়নে  ঘেরা শহরের গতিময়তা আর প্রাণচঞ্চলতা পরিহার করে ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে গজারিয়া ইউনিয়নের মোচারিয়া পাথার গ্রামে ১৯৭২ সালে ৩ একর ২৭ শতাংশ জমির ওপর  প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠেছে।  ওই গ্রামেরই এক সভ্রান্ত মুসলিম ও ধনাঢ্য পরিবারে সন্তান লাল মাহমুদ সরকার গ্রামের শিক্ষার মানোন্নয়নে এলাকাবাসীর উৎসাহ উদ্দীপনা আর সহযোগিতায় নিয়ে চারদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন। ওই প্রতিষ্ঠানে জমি দিয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে ডা. জালাল উদ্দিন ৪৮ শতাংশ, আবদুর রহমান সরকার ও তার তিন সহোদর আবু সাঈদ বিএসসি, হযরত আলী এবং আবদুল খালেক মিলে ২ একর ৭৯ শতাংশ জমি দান করে মহত্বের পরিচয় দেন। দেশ স্বাধীনের পর  টাঙ্গাইলের হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি অন্যতম।  জনাব লাল মাহমুদ সরকার তিনি তাঁর নামের সার্থকতা রক্ষা করেছেন তাঁরই প্রতিষ্ঠিত অমর কীর্তি এ  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে । তিনি ছিলেন বিদ্যোৎসাহী এবং শিক্ষার জন্য নিবেদিত প্রাণ পুরুষ। সখীপুরেতো বটেই সমগ্র দেশের জন্য অহংকার বয়ে এনেছেন তিনি। তাঁর এই প্রতিষ্ঠান গুণ কীর্তন করবে অনাদিকাল ধরে। পৃথিবী যতদিন থাকবে এই মানুষটি বেঁচে থাকবেন তাঁর কাজের মধ্যে তাঁর এ মহৎ কর্মই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে এ সোনার বাংলায়। তাঁর সাথে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্ম ¯্রােতে প্রবাহিত করেছেন এলাকাবাসীও।  ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রাথমিক স্বীকৃতি পায় ১ জানুয়ারি ১৯৭৪ সাল। ওই বছর থেকেই নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু হয়।  প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে  এসএম চাঁন মাহমুদ বিএসসি  ১ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ১ জানুয়ারি ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠার সঙে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মো. আবদুল হালিম মিয়া ২ জানুয়ারি ১৯৭৮ থেকে ৩০ এপ্রিল ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত, মো. শামসুল হক ১ মে ১৯৯৮ থেকে ১৬ নভেম্বর ২০০৯ সাল পর্যন্ত, ডিএম শামসুল আলম ১৬ নভেম্বর ২০০৯ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সাল পর্যন্ত, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে মো. আবদুল কাদের ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সাল থেকে ৩১ মার্চ ২০১১ সাল পর্যন্ত এবং এসএম চান মাহমুদ (বিএসসি এমএড) ১ এপ্রিল ২০১১ সাল থেকে অদ্যবধি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হিমেবে অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। যিনি শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক সফল ফলাফলে বয়ে এনেছেন প্রতিষ্ঠানের সুনাম। ২০১৫ সালে গজারিয়া ইউনিয়নে তিনি শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মনোনিত হন। ওই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবধি যারা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা হলেন, আলহাজ্ব মো. সোহরাব আলী, রবিউল আউয়াল খান, এসএম চান মাহমুদ, রমজান আলী দেওয়ান এবং ২০১৫ সাল হতে ওই প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্র মো. মোহসীন মিয়া প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সহিত অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৫ দক্ষ শিক্ষক-কর্মচারী মিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও নিয়মিত পর্যবেক্ষন করে থাকেন ওই প্রতিষ্ঠানে।  এ প্রতিষ্ঠান থেকে অধ্যয়ন শেষে যে সকল  কৃতী শিক্ষার্থী আজ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত শিকদার, এনএসআই কর্মকর্তা হিসেবে মো. রফিকুল ইসলাম রিপন, প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসেন, বর্তমান প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এসএম চান মাহমুদ, সভাপতি মো. মোহসীন মিয়া, এডভোকেট আফাজ উদ্দিন, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ, জার্মান প্রবাসী মো. সেলিম মিয়া, বিআরডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান,আ
ওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান বুলবুল, অধ্যাপক ওয়াজেদ আলী, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, সূর্যত আলী প্রি ক্যাডেটের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল হক মজনু, মোতালেব মিয়া, ইব্রাহিম খাঁ, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কামরুল হাসান বাবুল, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম বাবুল,  রানার গ্রুপের কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ রতন, ইউরেকা শিক্ষা পরিবারে প্রধান শিক্ষক রিফাত শারমিন রিতার নাম উল্লেখযোগ্য।  ১৯৭২ সালে ১১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে ৪৪২ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেণিতে নিয়মিত লেখা পড়া করছে। এর মধ্যে ছাত্রী ২৪৫ জন এবং ছাত্র ১৯৭ জন। ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশ করে  ৭২ জন এবং এসএসসি পরীক্ষায় ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নেয়। পাশ করে ৩৭ জন।  শিক্ষাবিস্তারে জনতা  উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। আপামর মানুষের দুঃখ কষ্ট নিরারণ করে মুখে হাসি ফুটিয়ে তাদের স্বাধীন চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটাতে জনাব মো. লাল মাহমুদ সরকারে মত সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী  যুগযুগ অত্যাবশ্যক। এরই মধ্যে ফলাফলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয় একটি নাম একটি মডেল। শুধু তাই নয়, ফলাফলে উপজেলায় একটি গৌরবময় এবং সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পেয়েছে স্বীকৃতি । এলাকাবাসীসহ  সর্বসাধারণের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে এ প্রতিষ্ঠানের সুযোগ্য সভাপতি, প্রধান শিক্ষকসহ  বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা তাঁদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানে সার্বোক্ষণিক  বিদ্যুৎ ব্যব¯’া থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে নিয়মিত মাল্টিমিডিয়া কাশে ডিজিট্যাল দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রশিক্ষিত শরীরচর্চা শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীদের এসেম্বলীকাশ শেষে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। এছাড়া প্রতিবছরই এসএসসি  ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের দিকে নজর রেখে অতিরিক্ত ক্লাশ নেওয়া হয়। এটি ধুমপান ও বাল্যবিয়ে মুক্ত প্রতিষ্ঠান।    বিদ্যালয়ে বেশকিছু সমস্যার তুলে ধরে প্রধান শিক্ষক এসএম চান মাহমুদ বলেন, শ্রেণি কক্ষের সংকট থাকায় একমাত্র একতলা পাকা ভবনটি দ্বিতল করা প্রয়োজন, পাকা রাস্তা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার কাদাযুক্ত রাস্তা থাকায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কষ্টকর হয়। সেটিও পাকাকরণ প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের নিরাপত্তার জন্য  বিদ্যালয়ের চারপাশে সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পড়া লেখার আসবাবপত্রের ব্যাপক সংকট রয়েছে  বলে তিনি জানান।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles