নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সাতমাস আটকে রেখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অসুস্থ সেই কলেজছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক। বুধবার দুপুরে ব্র্যাকের ‘সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি’ নিজ কার্যালয়ে মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেন। সখীপুরের ইউএনও মৌসুমী সরকার রাখী ওই কলেজছাত্রীর হাতে এ টাকা তুলে দেন। সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির ব্যবস্থাপক শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবুর রেজা, সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ’র সখীপুর প্রতিনিধি শাকিল আনোয়ার, সম্পাদক এনামুল হক, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার, জেলা সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির ব্যবস্থাপক লুইস গমেজ প্রমুখ। এছাড়াও ওই সংস্থাটি মেয়েটির পুনর্বাসনের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এ সময় ওই মেয়েটির দরিদ্র বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত; চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ওই কলেজছাত্রীকে প্রেমিকার কাছে পৌছে দেওয়ার কথা বলে একই গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে প্রতিবেশী বাদল মিয়া বনের পাশে পরিত্যাক্ত ঘরে আটকে রাখে। পরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সে নিয়মিত মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে গত ২৯ জুলাই প্রতিবেশী শিশুরা বনের পাশে পরিত্যাক্ত ঘরের আঙিনায় খেলতে গিয়ে মেয়েটি দেখে বাড়িতে খবর দেয়। সন্ধ্যায় পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরেরদিন মেয়েটির ভাই সুমন আহমেদ বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। পরে র্যাবের অভিযানে অভিযুক্ত বাদল গ্রেপ্তার হয়। বাদল মিয়া বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলহাজতে কারাভোগ করছেন।