- নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত নজরুল ইসলাম (৩০) সাতদিন পর মারা গেছেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের একটি দোকানে কাজ করতে গেলে বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার রাতে সে মারা যান। সে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের চকচকিয়া হাসনগঞ্জ গ্রামের আবদুল মালেক মিয়ার ছেলে। গত রবিবার রাতে মুঠোফোনের মাধ্যমে নজরুলের মৃত্যুর খবর এলে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই পরিবারে এখন চলছে শুধুই আহাজারি।
নিহত নজরুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে সংসারের অভাব দূর করতে সৌদি আরবে পাড়ি জমায় নজরুল। গত দেড় বছর আগে ছুটিতে এসে বিয়ে করে পুনরায় সৌদি চলে যান। নজরুল সৌদি আরবের জেদ্দায় ‘আল সমিজ সুভার’ নামের একটি দোকানে কাজ করত। গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই দোকানে বিদ্যুতের লাইন থেকে আগুন লেগে নজরুলের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে রবিবার রাতে মুঠোফোনে তার মৃত্যুর খবর এলে বাড়িতে কান্নাকাটির রোল লেগে যায়। নজরুলের মা ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন।
নজরুলের স্ত্রী হ্যাপি আক্তার জানান, ‘ওনার (নজরুলের) সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল ৯দিন আগে। তখন তিনি বলেছিলেন- বিদেশ আর ভালো লাগেনা। প্রবাস থেকে ফিরে ছোট একটা ব্যবসা শুরু করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।’
নজরুলের বাবা আবদুল মালেক মিয়া বলেন, ‘সর্বনাশা আগুন আমার সাজানো সংসার পুড়ে ছাই করে দিল।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, ‘আমার কাছে এখনও সুনির্দিষ্ট তথ্য আসেনি। তথ্য পেলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনাসহ সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’