নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে দুই সন্তানের জনক ব্যবসায়ী আবুল হাশেম লিটনের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রী বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই ব্যবসায়ী লিটনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মামলা ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই ছাত্রী প্রতিবেশী মতিয়ার রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী আবুল হাশেম লিটনের (৪৫) বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মেয়েটিকে ঘরের ভেতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় লিটন মেয়েটির অশ্লীল ছবি মুঠোফোনে ভিডিও করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় মেয়েটিকে। এরপর ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মেয়েটি ধর্ষণ করে লম্পট লিটন। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার দুপুরে সখীপুর থানায় কথা হলে মেয়েটি জানায়, ‘প্রতিবেশি লিটনের বাড়িতে গেলে সে আমাকে ঘরের ভেতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও করে রাখে। ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।’ মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে লোক-লজ্জার ভয়ে প্রায় দুই মাস ধরে স্কুলে যায়না। আমি আমার মেয়ের সর্বনাশকারী লিটনের শাস্তি চাই।’ অভিযুক্ত লিটন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মেয়েটিকে বিয়ে করা হয়েছে জানিয়ে তার স্ত্রী দাবি করেন। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’