34 C
Dhaka
Monday, August 18, 2025

জুলাই ঘোষণা হতে হবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে – আহমেদ আযম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ...

সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জুয়েল রানা (২৫)...

সখীপুরে ছেলের চোখের সামনে মাকে হত্যা করে পালিয়েছে বাবা

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছেলের চোখের সামনে...

স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই পতাকার ফেরিওয়ালা

জাতীয়স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই পতাকার ফেরিওয়ালা

সাইফুল ইসলাম সানি: ৬০ বছর বয়সের শাহজাহান মোল্লা। তাঁর এক হাতে সরু বাঁশে ছোট-বড় পতাকা বাঁধা। অপর হাতে কাঠিতে ঝুলানো ছোট পতাকা ও বিজয় দিবস লিখা ফিতা। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলেই জাতীয় পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশের নানা প্রান্তে। সারা দিন পায়ে হেঁটে জেলা-উপজেলা শহ‌রে পতাকা বিক্রি করেন তিনি। পতাকা তুলে দেন স্বাধীন দেশের নতুন প্রজন্মের হাতে হাতে।

শাহজাহান মোল্লা মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার পশ্চিম কাকৈর গ্রামের আবদুল মজিদ মোল্লার ছেলে। ১২ বছর ধরেই তাঁর পেশা মূলত ফেরিওয়ালা। বছরের ১২ মাসই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু-না-কিছু ফেরি করে বিক্রি করেন তিনি। ডিসেম্বরে বিক্রি করেন আমাদের জাতীয় পতাকা। শুক্রবার সকালে সখীপুর প্রেসক্লাবের সামনে কথা হয় পতাকার ফেরিওয়ালা শাহজাহান মোল্লার সঙ্গে।

শুক্রবার সখীপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তোলা ছবি। ছবি: সাইফুল ইসলাম সানি

তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, মাসের ২৫ দিনই ফেরি করতে তিনি নিজ বাড়ির বাইরে থাকেন। বাকি পাঁচ দিন সময় দেন পরিবারকে। সারা বছর সিলভার ও স্টিলের হাড়ি-পাতিল ফেরি করেন। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের পতাকা ফেরি করে বিক্রি করেন।
তিনি এক সপ্তাহ আগে টাঙ্গাইল এসেছেন। টাঙ্গাইলে এসেই বিভিন্ন উপজেলার বাজার এবং বাসা বাড়িতে পতাকা বিক্রি করছেন। সারা বছর ফে‌রি করেই তাঁর সংসার চলে। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা। মেয়ে দুটি বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলে সংসার দেখাশোনা করেন; অপরজন ছোট, সে পড়াশোনা করে।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান মোল্লা বলেন, শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেই পতাকা বিক্রি করি না। পতাকাকে ভালোবাসি বলেও রাস্তায় রাস্তায় পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াই। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি থেকেও পতাকার ফেরিওয়ালা হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলার বীর সন্তানেরা আমাদের একটা স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। উপহার দিয়েছেন সুন্দর এক‌টি পতাকা। তাঁদের দেওয়া লাল-সবুজ পতাকা বুকে ধারণ করে রেখেছি এবং বিজয়ের মাসে মানুষের নিকট বিজয়ের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।
পতাকার দামের বিষয়ে শাহজাহান মোল্লা জানান, প্রতিটি বড় আকারের লাল-সবুজ পতাকা ১৫০ টাকা থে‌কে ২০০ টাকা, মাঝারি ১০০টাকা, ছোট আকারের ৩০ থেকে ৫০ টাকা। মাথায় বাঁধার ফিতা ১৫ টাকা, আর রাবারের ফিতা ২০ টাকা, লাঠি পতাকা ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। এখন প্রতিদিন গড়ে ৯০০ থেকে ১২০০ টাকার পতাকা বিক্রি হয়। বিজয় দিবস যত নিকটে আসবে, বিক্রি ততো বাড়বে। প্রতি বিজয় দিবসে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয় বলে তিনি জানান।

শাহজাহান মোল্লার কাছ থেকে পতাকা কিনেছেন শফিকুল ইসলাম নামের এক অটোভ্যান চালক। তিনি জানান, ১০ টাকা দিয়ে একটা কাঠি পতাকা কিনেছেন। বিজয়ের মাস চলছে তাই দেশের পতাকা গাড়িতে টানিয়ে রাখবেন।
মুদি দোকানদার আশরাফুল ইসলাম জানান, আগের পতাকাটি পুরাতন হয়ে গেছে। বিজয় দিবসে তাঁদের সকল দোকানেই পতাকা উত্তোলন করা হয়।

 

বার্তা ডেস্ক

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles