নিজস্ব প্রতিবেদক : সখীপুর উপজেলায় ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৯টিতেই এখনো শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি। অন্যান্য ছুটির দিনের মতোই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অলস দিন কাটায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ফলে একুশের চেতনা ও তাৎপর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলায় ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকায় আরও ১৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো কোন শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি। এছাড়াও উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক, নি¤œ মাধ্যমিক, কলেজ মাদরাসায় এখনো শহিদ মিনার নেই। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একুশে ফেব্রুয়ারিকে শুধুমাত্র স্বাভাবিক ছুটির দিন হিসেবেই পালন করে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য জানেনা। গত মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার শোলাপ্রতিমা শহিদ আবদুর রকীব বীর বিক্রম বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রঙ্গিন কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে মাতৃভাষা দিবস পালন করছে। তবে প্রতিমা বংকী ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসা, শোলাপ্রতিমা দাখিল মাদরাসা, হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার খোঁজে পাওয়া যায়নি। একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ‘ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমাদেরও ইচ্ছা করে। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই।’
আবার উপজেলার কয়েকটি স্থানে মেঠো পথের ধারে শিশুরা কলাগাছে রঙ্গিন কাগজ মোড়িয়ে তারমধ্যে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে এমন চিত্রও লক্ষ্য করা গেছে। হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হাশেম মিয়া জানান, ‘আন্তরিকতা থাকলেও শহীদ মিনার তৈরি করতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বা নির্দেশনা নেই।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, শিশুরা যেখানে ভাষা ও বর্ণমালা শেখে সেখানে শহীদ মিনার হওয়া উচিত। সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করলে প্রতিটি বিদ্যালয়েই শহিদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব।