সাইফুল ইসলাম সানি: করোনাকালে অনেকেরই চলছে গৃহবন্দী জীবন। তার উপর শ্রাবণ মাসের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। জীবন যেসময় অধিকাংশেই খুব সাবধানে থেমে থেমে পা ফেলছে, ঠিক সেই সময়টাতেই হয়তো কারো কারো সাদা মনে উদয় হচ্ছে সমাজের জন্যে ভালো কিছু করার শুভবুদ্ধি। আজ তেমনই একজনের গল্প বলছি…।
বই পড়া, ঘুরে বেড়ানো এবং প্রিয় মানুষদের সাথে আড্ডা আড্ডা দেওয়া যাঁর নেশা। আজ সেই শাহআলম সাজুর কথা বলবো। করোনাকালেও ঘরে বসে নেই তিনি, নিজ উপজেলা সখীপুরকে আলোকিত করার প্রত্যয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লাইব্রেরি ও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে নিজেরই লেখা বই বিতরণ করছেন। শাহআলম সাজু নিজেই প্রায় অর্ধ্বশতাধিক বইয়ের লেখক। তরুণদের বইমুখি ও করােনাকালে ঘরমুখি করতে তাঁর এই বই বিতরণের শুভ উদ্যোগ। তরুণদের একত্রিত করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি বই বিলিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই মহৎ উদ্যোগ উপজেলার তরুণদের মধ্যে নতুন করে বই পড়ার উৎসাহ যোগাচ্ছে।


শাহআলম সাজু’র পৈতৃক বাড়ি উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। বর্তমানে জনপ্রিয় ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্টার। ঢাকায় থাকেন, লেখালেখিই তার পেশা ও নেশা। গত ২২ বছরে তাঁর ৪৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে ৪০টি উপন্যাস ও পাঁচটি গল্পের বই। তিনি একাধারে একজন সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার।
একান্ত আলাপকালে শাহআলম সাজু বলেন, ‘অরাজনৈতিকভাবে আমার নিজের উপজেলার, বিশেষ করে তরুণদের বইমুখি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক’শ তরুণ-তরুণীর হাতে বই তুলে দিয়েছি। এছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি পাঠাগারে বই উপহার দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি চাই সখীপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে যেতে এবং অল্প পরিসরে হলেও তরুণদের হাতে বই তুলে দিতে। তরুণরা বই পড়ুক- এটা আমার সারাজীবনের স্বপ্ন।’
শাহআলম সাজুর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, একজন লেখকের এমন উদ্যোগকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। কারণ, যে সময়ে তরুণরা মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে, ঠিক সেই সময়ে তরুণদের ঘরমুখি করতে, বইমুখি করতে শাহআলম সাজু বই বিলিয়ে যাচ্ছেন। এমন শুভবুদ্ধির মানুষ সমাজে খুব একটা পাওয়া যায় না। আমরা চাই, তাঁর এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক।
-এসবি/সানি