32 C
Dhaka
Wednesday, May 1, 2024

টিকটকে পরিচয় অনলাইনে বিয়ে, স্বীকৃতি দাবিতে শেরপুরের তরুণী এখন সখীপুরে

সাইফুল ইসলাম সানি: যুবকের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুরে,...

সখীপুরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে তীব্র তাপদাহে বিদ্যুতের...

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে সুরীরচালা আব্দুল হামিদ...

কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

জাতীয়কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

অনলাইন: কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন। বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই নির্দেশনার তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে যুক্ত হতে বলেছেন। প্রথাগতভাবে যেভাবে অন্য অপরাধীদের হ্যান্ডেল করা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি দিতে বলেছেন। কিশোরেরা কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও তাঁদের যেন দীর্ঘ মেয়াদে অপরাধী বানিয়ে না ফেলা হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন। মাহবুব হোসেন বলেন, কিশোরদের সংশোধনের জন্য ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাঁদের নিয়োজিত করার যেন সুযোগ রাখা হয়। জেলখানায় তাঁদের অন্য আসামিদের সঙ্গে রাখা না হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রকল্প নেওয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।বর্তমানে দেশে তিনটি সংশোধনাগার রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো সব পরিপূর্ণ। এগুলোর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে আরও সুযোগ-সুবিধা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

কিশোর অপরাধীরা যাতে সমাজ, রাষ্ট্রে তাঁদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারে, সেভাবে তাঁদের সংশোধন করতে হবে। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবস্থাপনার জন্য অবশ্যই মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলিংয়ের বড় ভূমিকা পালন করেন সে বিষয়েও দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।

কিশোর অপরাধীদের হ্যান্ডেল করার সময় তাঁকে যত্নসহকারে করতে হবে যাতে পুনরায় আর অপরাধী না হয়। তাঁদের সংশোধন হওয়ার পরিবেশ দেওয়া, জেলে থাকলেও ভালো নাগরিক হয়ে বের হয়ে আসতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা।

ব্যয় কমিয়ে আমদানি-রপ্তানি এবং স্থানীয় পণ্যের সহজ ও অবাধ চলাচল নিশ্চিতে ‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতিমালা-২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশে কোনো নীতিমালা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল। আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে লজিস্টিকস সাপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মোট ব্যয়ের একটা বড় অংশ এখানে রয়েছে।

নীতিমালার উদ্দেশ্য তুলে ধরে সচিব বলেন, নির্ধারিত সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে স্মুথলি পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। কী কার্যক্রম গ্রহণ করলে এই সার্ভিসটা দেওয়া সম্ভব হবে সে সংক্রান্ত একটি দিক-নির্দেশনা এ নীতিমালায় রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। কাউন্সিল সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দেবে। এছাড়া মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে।

উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রপ্তানি পণ্য উৎপাদন স্থান থেকে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত যাত্রাটি যেন বাধাহীন হয়, সে জন্য কী সহায়তা করা যায়—সেটার জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। আগে এটি ছিল না, এটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করা হলো। যোগাযোগ সড়কনির্ভরতা কমিয়ে রেল ও নৌপথ নির্ভরতা বাড়াতে হবে। জিপিএস ট্র্যাকিং ও কানেকটিভিটি হাব অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি কানেকটিভিটি হাব হবে। সেখানে পণ্য সরবরাহের জন্য ওয়ারহাউস (গুদামঘর) ও পণ্য যেন পচে না যায়, সে ব্যবস্থা করা হবে। নীতিমালায় রপ্তানিকে মুখ্য ধরা হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারের কথাও বলা হচ্ছে। পণ্যের অবাধ যাতায়াতের জন্য যেসব অবকাঠামো দরকার সে বিষয়ে নীতিমালায় বলা আছে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles