24 C
Dhaka
Sunday, November 23, 2025

সখীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সখীপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে...

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৮ মাসে...

সখীপুরে প্রবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপা‌টের ঘটনায় থানায় অ‌ভি‌যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইতালী প্রবাসীর বাড়িঘর...

দরিদ্রতার বাধা পেরিয়ে বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেল সখীপুরের আল আমিন

সখীপুরদরিদ্রতার বাধা পেরিয়ে বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেল সখীপুরের আল আমিন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয়ে (বুয়েট) পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছে টাংগাইলের সখীপুরের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আল আমিন । বাবা আজিজুল মিয়া ভ্যান চালিয়ে দিনমজুর খেটে সন্তানকে পড়াশোনা করিয়েছেন।দিনমজুর বাবার সন্তান আল আমিন সুযোগ পেয়েছে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয়ে (বুয়েট) পড়াশোনা করার।

মা নামক শব্দটির সাথে ভালো ভাবে পরিচিত হওয়ার আগেই মাত্র চার বছর বয়সে মা হারায়। ছোট বেলা থেকেই আল আমিন ছিল অত্যন্ত পরিশ্রমী। পড়ালেখায় বেশ মনযোগী হওয়ায় বাবা-দাদা তাকে কোনো কাজ করতে দেয়নি। প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে সংসারের চাহিদা পূরণ করতেন আল আমিনের বাবা ও দাদা। তবে দরিদ্রতা যেন কখনো পড়াশোনার সামনে প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায় এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন তাঁরা

টাংগাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আজিজুল মিয়ার সন্তান আল আমিন । কচুয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৭২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে সরকারি মুজিব কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয় (বুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষায় ১০২০তম স্থান অর্জন করে আল আমিন

আল আমিন বলেন, আমার বাবা দাদা ভ্যান চালিয়ে আমার পড়াশোনার খরচ চালাতেন এমন একটি পরিবার থেকে পড়াশোনা করা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল। আমার বয়স যখন চার বছর তখনই আমার মা মারা যান। আমার বাবা, দাদা-দাদী আমাকে পড়াশোনায় সব সময় উৎসাহ দিত। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, তারা আমাদের ভালো রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। একজন দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে পরিবারের হাল ধরার পাশাপাশি দেশের সেবা করতে চান আল আমিন।
আল আমিনের বাবা আজিজুল মিয়া বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে কোন ভাবে সংসার চালাই। টাকার অভাবে ছেলেকে ভালো কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি করতে পারিনি। সে নিজে নিজে পড়াশোনা করেই বুয়েটে চান্স পেয়েছে। তিনি আক্ষেপে করে বলেন, ঢাকায় সন্তানকে রেখে পড়াশোনা করাতে গেলে অনেক টাকার দরকার। টাকা কই পাবো?

সখীপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফারজানা আলম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই। আল আমিন একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবী সন্তান। সখীপুর উপজেলা প্রশাসন সব সময় তার পাশে থেকে সহায়তার করবে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles