21 C
Dhaka
Sunday, November 23, 2025

সখীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সখীপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে...

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৮ মাসে...

সখীপুরে প্রবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপা‌টের ঘটনায় থানায় অ‌ভি‌যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইতালী প্রবাসীর বাড়িঘর...

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর মামলায় নতুন প্রজন্ম জাতীয় ঐক্য পরিষদের সভাপতি গ্রেপ্তার

সখীপুরপুলিশের গাড়ি ভাঙচুর মামলায় নতুন প্রজন্ম জাতীয় ঐক্য পরিষদের সভাপতি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভূক্ত আসামি আবুল হাশেম দুর্জয়কে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানা-পুলিশ। গত শনিবার গভীর রাতে তাঁকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার তাঁকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপজেলার কালমেঘা নাগেরচালা গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে। আবুল হাশেম নতুন প্রজন্ম জাতীয় ঐক্য পরিষদ নামের একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলে দাবি করেন। তিনি ২০১৮ সালে বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনী মোর্চা যুক্তফ্রণ্টের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন নিয়ে সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কুলা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে বিএনপির জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী। ওই নির্বাচনের ১০ দিন আগে ১৮ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বড়চওনা এলাকায় টহলরত পুলিশের গাড়িতে হামলা ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুরের এমন অভিযোগে সখীপুর থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। ১৯ ডিসেম্বর করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯৪ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার এক বছর ১০ মাস পর পুলিশ তদন্ত করে গত ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর ১২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জসিট) জমা দেয় পুলিশ। ওই অভিযোগপত্রে ৭০ নম্বর আসামি হিসেবে আবুল হাশেমের নাম ছিল।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাজাহান সাজু বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্নদলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ কয়েকটি ‘গায়েবি’ মামলা করেন। তিনি আমাদের দল করেন না। তারপরেও আবুল হাশেমকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলাটি যে সম্পূর্ণ ‘গায়েবি’ ছিল এটাই তাঁর প্রমাণ। ওই মামলায় বিএনপির ৫৬জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২৫জন নেতাকর্মী দীর্ঘদিন কারাভোগ করে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে দুটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles