সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে পীরের অপচিকিৎসায় মারা যাওয়া হাবিবুর রহমান ওরফে হবুল মিয়ার ছেলে মো. শান্তর (১৬) দায়িত্ব দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে হবুল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তিনি অসহায় পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। হবুল মিয়ার ছেলে মো. শান্ত উপজেলার বড়চওনা-কুতুবপুর (বিকে) কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, হাবিবুর রহমান হবুলের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আজ থেকে হবুল মিয়ার ছেলে শান্ত’র পুরো দায়-দায়িত্ব আমি এবং আমার দল বিএনপি গ্রহণ করলো। এ ছাড়া তাঁর পরিবারের যেকোনো বিপদ-আপদে আমরা পাশে থাকব। এ সময় অপচিকিৎসায় নিহত হবুল মিয়ার ছেলের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা অনুদান তুলে দেন আযম খান।
এ সময় আযম খানের সঙ্গে সখীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু, সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এমএ রউফ, মীর আবুল হাশেম আজাদ, এস এম সবুর রেজাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মাসের (জুন) শেষের দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের শ্রমিক হাবিবুর রহমান হবুল মিয়া অসুস্থ হলে স্থানীয় মিনজু শাহ চিশতি নামের পীরের কাছে যান। পীর মিনজু শাহ চিশতি অসুস্থ হবুল মিয়াকে চিকিৎসার নামে প্রায় ৩ ঘণ্টা টিওবওয়েলের পানির নিচে হাত-পা বেঁধে রাখেন। এরপর পুকুরের পানিতে ১০০১ টি ডুব দিতে বাধ্য করেন। এতে হবুল মিয়া আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকেও ফুঁসলিয়ে বাড়িতে এনে পুনরায় তাঁকে পানি থ্যারাপি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে গত ৩০ জুন বিকেলে হবুল মিয়া মারা যান।