জাহিদ হাসান: কেন্দ্রিয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আটিয়া বন অধ্যাদেশ স্বৈরশাসক এরশাদ ১৯৮২ সালে করেছিল। আর ১৯৮৭ সালে এরশাদের সাথে আওয়ামীলীগ সংসদে গিয়ে, তখন এটাকে আইনে পরিণত করেছিল। এখন আর আটিয়া বন অধ্যাদেশ নেই, ৮৭ আটিয়া বন আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইনের বিরুদ্ধে আমরা বারবার আন্দোলন করেছি। আমি আপনাদেরকে ওয়াদা করতে চাই, আল্লাহ্ র মেহেরবানীতে যদি নির্বাচিত হতে পারি, ওই আটিয়া কালো বন আইন ৮৭ সংসদে বসে বাতিল করবো ইনশাআল্লাহ।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে শনিবার বিকেলে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে সখীপুর উপজেলার জনগণের উপর বন বিভাগের অত্যাচারের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে তা তিনি এখন থেকে বন্ধ করার জন্য বন বিভাগের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এসময় আহমেদ আযম খান সখীপুর বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এই আটিয়া বন আইন বাতিলের জন্যে, আইনের পাতা ছিড়ে ফেলার জন্যে আপনাদের সাথে প্রতারণা করে অনেকে ভোট নিয়েছে। এই আইন বাতিলের জন্যে অনেকে বড় মুখ করে ভোট চেয়েছে। এই আইনের কালো পৃষ্ঠা আইনের পাতা থেকে ছিড়ে ফেলবে এই রকম বক্তব্য শুনে সখীপুর বাসি তাদেরকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছে। কিন্তু, আমরা ৪২ বছরেও পরিত্রাণ পাইনি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বনের এই কালো আইন বাতিল করা হবে।
বন বিভাগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্রিয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত, বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা আমার সখীপুরের একটি ঘর, একটি জায়গায় হাত দেবেন না বলে দিলাম। কেননা সখীপুরের মানুষের যুগ যুগের আতঙ্ক এই আটিয়া বন অধ্যাদেশ। এ অঞ্চলের মানুষের শত বছরের বসতবাড়ি জমিজমা বন বিভাগের লোকজন উচ্ছেদ করেছে। নতুন ঘর তুলতে গেলে পুরাতন ঘর সংস্কার করতে গেলেও বন বিভাগ বাঁধা দেয়। টাকা না দিলে তারা ঘর তুলতে দেয় না। উল্টো ভুক্তভোগীদের নামে মামলা ঠুকে দেন। সখীপুরের মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ চায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে পৌর বিএনপির সভাপতি নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক ছবুর রেজা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম আজাদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।