নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু।কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। শনিবার উপজেলার পাথারপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবদুস সবুর ও শামীম আল মামুনের ক্ষেতে গিয়ে এ ধান কাটা হয়। উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ওই ইউনিয়নের কৃষক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশত কর্মী ধান কাটায় অংশ নেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) এরশাদুল আলম, গজারিয়া ইউপি চেয়াম্যান আবদুল মান্নান মিঞা, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ চান মাহমুদ, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বাবুল, ইউনিয়ন কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন বলেন, পাথার গ্রামের আবদুস সবুর একজন বর্গাচাষি। তাঁর এক একর জমি শ্রমিক ও টাকার অভাবে কাটতে পারছিলেন না। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে দুইজন কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান লুঙ্গি-গেন্জি পরিধান করে গামছা মাথায় বেধে ধান কেটেছেন ও কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বলেন, অনেকেই শার্ট-প্যান্ট পড়ে ফটোসেশন করার জন্য ধান কাটতে যায়। এটা উচিৎ নয়। কৃষকের যদি কোনো উপকার না হয় তাহলে অভিনয়ের কোনো দরকার নেই। আমি মূলত ধান কাটতেই ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে তারপর সখীপুরে ফিরে এসেছি।

