নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে গৃহবধূর জরিনা আক্তার (৪২) হত্যা মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার সুরীরচালা গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার সকালে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে । রুহুল আমিন স্থানীয় কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এর আগে শনিবার রাতে গৃহবধূ জরিনা আক্তারের মেয়ে স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ সাতজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবর সালাম মিয়ার লাঠির আঘাতে ভাবি জরিনা আক্তার (৪২) গুরুতর আহত হন। পরে শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে জরিনার মৃত্যু হয়। জরিনা উপজেলার সুরীরচালা গ্রামের প্রবাসী সাহেব আলীর স্ত্রী। দেবর সালাম মিয়া ও সাহেব আলী সহোদর।

নিহতের মেয়ে মামলার বাদী স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘ছোট্ট একটি ঘটনায় সবাই মিলে আমার রোজাদার মাকে খুন করেছে। ওরা মাকে বাঁচতে দিলনা। আমি মা হত্যা বিচার চাই। তিনি অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন আমার মা হত্যার ইন্দনদাতা। ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘নিহত জরিনার মেয়ে স্বপ্নার কয়েকটি গ্রাম্য বিচারে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেই ক্ষোভে আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’
এ বিষয়ে থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, গৃহবধূ হত্যা মামলায় রুহুল আমিন নামের একজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে রবিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।