জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছেলের চোখের সামনে মাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়েছে বাবা। যেই মা তাকে জন্ম দিয়েছে, সেই মা তারই চোখের সামনে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। এর চেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা আর কি হতে পারে? হতভম্ভ হয়ে ঘরের চৌকাঠের সামনে বসে আছে ৭ বছরের ছেলে মেরাজ। চোখের সামনে এমন নির্মমতা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে ছেলে। বার বার শুধু চোখের পানি ঝড়ছে, কিন্তু সেই কষ্ট সহ্য করতে পারছে না ছোট্ট শিশু মেরাজ।

রবিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) সকালে উপজেলার পৌর শহরের জেলখানা মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম কাকলি আক্তার (৩৫)। অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। মেহেদী হাসান উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদীঘি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
নিহত কাকলি উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের মৃত ছবুর মিয়ার মেয়ে। স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ (এক ছেলে ও এক মেয়ে) জেলখানা মোড়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বসবাস করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, মেহেদী হাসান ও কাকলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক কলহ চলছিল। রবিবার সকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মেহেদী ছুরি দিয়ে কাকলির পিঠে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় কাকলিকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই গৃহবধূ কাকলির মৃত্যু হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, “পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।