নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে এবার পর্ণোগ্রাফি মামলার বাদী নৃত্যশিল্পী সুমন আহমেদের (১৯) মাথার চুল কেটে মুখে কালি মেখে বিবস্ত্র করে ফেলে রেখে গেছে আসামিরা। বুধবার রাত ২টার দিকে সখীপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুল ইসলামের বাসার কাছে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে, গত ৬ আগস্ট নৃত্যশিল্পী সুমনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই ঘটনায় ৮ আগস্ট স্টার বয়েজ ক্লাবের সদস্য শরীফুল ইসলাম ওরফে কালা শরীফ (২২) ও রেজাউনুল হক প্রিন্সসহ (২০) পাঁচজনের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি মামলা করেন সুমন। ওই মামলা তুলে নিতেই বারবার তার উপর এমন নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে নৃত্যশিল্পী সুমনের দাবি।
পুলিশ ও নৃত্যশিল্পী সুমনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ৫জন মুখোশধারী যুবক বাড়ির সামনে থেকে সুমনকে ধরে আনে। মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলযোগে তাকে একটি বনের ভেতর নেওয়া হয়। সেখানে আগের মামলার আসামি শরীফুল ইসলাম ওরফে কালা শরীফ ও সুপ্তসহ চার যুবক অপেক্ষা করছিল। তারা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। স্বীকার না হওয়ায় সুমনের মাথার চুল কেটে মুখে কালি মেখে রাত ২টার দিকে সুমনকে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুল ইসলামের বাড়ির কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তার প্যান্ট খুলে নিয়ে তাকে রেখে সটকে পড়ে। এ সময় পাশের বাসার লোকজনকে ডাক দিলে তারা সুমনের কালিমাখা চেহারা দেখে চোর চোর বলে ডাকতে থাকে। উপায় না পেয়ে সুমন দৌড়ে ওই এলাকার ববে মিশন হাই স্কুলের পাশে তার খালু মুকরোম আলীর বাসায় আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগের মামলার আসামি শরীফুল ইসলাম ওরফে কালা শরীফ ও সুপ্তসহ অজ্ঞাত আরো ৬জন আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
সখীপুর থানার ওসি মো. আমির হোসেন বলেন, আগের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এবারের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, নৃত্যশিল্পী সুমন (১৯) সখীপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিশা মিয়ার ছেলে। সে ঢাকা রবীন্দ্র ক্লাবের জুনিয়র সভাপতি ও সখীপুর লোকাল বয়েজ ক্লাবের সদস্য। অন্যদিকে আসামিরা স্টার বয়েজ ক্লাবের সদস্য বলে জানাগেছে। পুলিশ জানায়, মূলত দু’টি ক্লাবের বিরোধের জের ধরেই এসব ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে।