28 C
Dhaka
Tuesday, March 11, 2025

আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ভালোবাসা...

সখীপুরে কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কবি ইমরুল কায়েসের...

সখীপুরে যমজ কন্যাদের জোড়ায় জোড়ায় সাফল্য

বাংলাদেশজাতীয়সখীপুরে যমজ কন্যাদের জোড়ায় জোড়ায় সাফল্য

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ চার কন্যার শিক্ষাক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্যে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। চার কন্যার মধ্যে যমজ যারীন তাসনীম বুয়েটে এবং যাহরা তাসনীম মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া অপর যমজ দুই বোন আফসানা ও শাহানা একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ এই চার কন্যা ছোটবেলা থেকেই ছিল বেশ মেধাবী। চারজনই শিক্ষাজীবনের পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। যারীন-যাহরার বাবা আবু জুয়েল এবং আফসানা-শাহানার বাবা আল আমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যমজ চার কন্যার শিক্ষক ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়া গ্রামের আবু জুয়েল সবুজ ও চায়না আক্তার দম্পতির যমজ সন্তান যারীন তাসনীম এবার বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং যাহরা তাসনীম টাঙ্গাইল মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে তাঁরা এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকার হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।

যারীন ও যাহরার মা চায়না আক্তার বলেন, ছোটবেলা থেকেই যারীন তাসনীম ইঞ্জিনিয়ারিং ও যাহরা তাসনীম ডাক্তার হতে চেয়েছিল। আল্লাহর ইচ্ছা ও মেয়েদের চেষ্টা-পরিশ্রমে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। উল্লেখ্য, যারীন-যাহরার বাবা আবু জুয়েল সবুজ পৌর শহরের সূর্যতরুণ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক এবং তাঁদের মা চায়না আক্তার উপজেলার গজারিয়া শান্তিকুঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

অন্যদিকে, সখীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল-আমিন ও আফিয়া আক্তার দম্পতির যমজ সন্তান সামিয়া জাহান আফসানা এবং সাদিয়া জাহান শাহানা এইচএসসি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। এর আগে দুই বোনই সখীপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

আফসানা ও শাহানার বাবা আল-আমিন বলেন, দুই মেয়ের ধারাবাহিক সাফল্যে আমরা আনন্দিত। আমাদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও মেয়েদের সাধুবাদ জানাচ্ছেন। মেয়েদের ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার। তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে সুযোগ পেয়েছে, এতেই আমরা খুশি। উল্লেখ্য, আফসানা ও শাহানার বাবা আল-আমিন উপজেলার বড়চওনা-কুতুবপুর (বিকে) কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং তাঁদের মা আফিয়া আক্তার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত।

এ বিষয়ে সখীপুর পিএম পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ কন্যাদের এমন সাফল্য কাকতালীয় কোনো বিষয় নয়। এটি সম্ভব হয়েছে তাদের প্রবল ইচ্ছা, চেষ্টা ও দৃঢ় অধ্যবসায়ের কারণে। শিক্ষক হিসেবে আমি তাদের সফলতা কামনা করছি।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles