সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোস্তফা কামাল (৪০) নামের এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে যুবতীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা দিয়ে অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল সটকে পড়েছেন। গত ২৬ মে বুধবার বিকেলে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর খন্দকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্থানীয়রা দুইপক্ষে বিভক্ত হয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন বলে যুবতীর বাবা অভিযোগ করেন। ওই যুবতীর দরিদ্র বাবা বিচারের দাবিতে দিশেহারা হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বুধবার (২জুন) তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

যুবতীর বাবা ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই যুবতী কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী এবং অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল ভূঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা। সে যাদবপুর ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগমের বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। এ সুবাদে মোস্তফার সঙ্গে ওই যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয়পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিয়ের আলাপও চলছিল। গত ২৬ মে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মোস্তফা এবং ওই যুবতী একটি বনে দেখা করেন। এসময় ইচ্চার বিরুদ্ধে মোস্তাফা ওই যুবতীর সঙ্গে সঙ্গম করতে চাইলে একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার করে। স্থানীয় লোকজন তাদের আপত্তিজনক অবস্থায় দেখতে পেয়ে মোস্তফাকে আটক করে মারধর করে।
খবর পেয়ে নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগম যাদবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বছির উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়েটির বাড়ি ছুটে যান। পরে স্থানীয়রা মোস্তফার অভিভাবক ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগমের কাছে হস্তান্তর করে। কিন্তু ঘটনার পরেরদিন কাউকে কিছু না বলেই মোস্তফা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে যাদবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগম বলেন, ঘটনার পরে আবদুল মালেক নামের (ওই যুবতীর প্রতিবেশী) এক ব্যক্তি মোস্তফাকে ধমকিয়ে গেছেন। সম্ভবত ওই হুমকিতেই সে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছে। ওই নারী ইউপি সদস্য দাবি করেন, আমরা দায়িত্ব নেইনি, বরং মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে মীমাংসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের মধ্যে হলেও মীমাংসার দায়িত্ব নেওয়া দুই ইউপি সদস্যই আমার পাশের যাদবপুর ইউনিয়নের। মেয়েটির পরিবারকে আইনী সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
যুবতীর বাবা বলেন, আমাদের সঙ্গে তালবাহানা করা হচ্ছে। মোস্তফাকে অভিলম্বে গ্রেপ্তার এবং এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত মোস্তফা কামালের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-এসবি/ সানি