29.3 C
Dhaka
Saturday, August 16, 2025

মির্জাপুরে বাসা ফাউন্ডেশন এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস...

জুলাই ঘোষণা হতে হবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে – আহমেদ আযম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ...

সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জুয়েল রানা (২৫)...

সখীপুরে স্থানীয়দের দেওয়া আগুনে পুড়ছে সংরক্ষিত বন

অন্যান্যকৃষিসখীপুরে স্থানীয়দের দেওয়া আগুনে পুড়ছে সংরক্ষিত বন

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংরক্ষিত শাল গজারি ও উডলট বাগানে স্থানীয়দের দেওয়া আগুনে পুড়ছে নানা প্রজাতির লতাগুল্ম। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে সরকারের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প। গত কয়েক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এমন ক্ষতিকর ও ভয়ানক চিত্র। স্থানীয় বন বিভাগ মাইকিং করেও বনে অগ্নিসংযোগ থামাতে পারছে না।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেওবাড়ি বনের আগুন। ছবি: সাইফুল ইসলাম সানি

সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, সরকারের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় সখীপুরের ৭২০ হেক্টর বনভূমিতে আমলকী, লটকন, হরীতকী, নিম, বহেড়া, গর্জন, চিকরাশি, গাদিলা, পিতরাজ, সোনালু, জলপাই, মহুয়া, কাঠবাদাম, গামার, শিমুল, ছাতিয়া, বেল, তেঁতুল, অর্জুনসহ ফলদ ও ঔষধি গাছের ৪২ প্রজাতির ১০ লাখ ৮০ হাজার চারা রোপণ করেছিল বন বিভাগ। তবে যেসব বনে আগুন দেওয়া হচ্ছে, ওই অংশে প্রকল্পের চারা নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে বনের ভেতর বানর, বেজি, বাগডাশ, হনু বিড়াল, কাঠবিড়ালি, শিয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী, চিল, শালিক, ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং গুইসাপ, শঙ্খচূড় বা রাজগোখরাসহ বিভিন্ন প্রজাতীর সরীসৃপ মারা পড়ছে, হারিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ বাসস্থান। বানরগুলো মাঝেমধ্যে লোকালয়ে চলে আসছে। সম্প্রতি সখীপুর বন বিভাগের দেওবাড়ি, কালমেঘা, বাজাইল বিট কার্যালয়সংলগ্ন এলাকা, তক্তারচালা, নলুয়া, বহেড়াতৈল, কাকড়াজান ও মরিচা এলাকার কয়েকটি সংরক্ষিত বন ঘুরে আগুন দেওয়ার চিত্র দেখা গেছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হতেয়া, বহেড়াতৈল ও বাঁশতৈল (অংশ) রেঞ্জের ১১টি বিটের অধীনে সখীপুরে ২৮ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৫২ একর সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ২০০ একর জমিতে শাল গজারির সংরক্ষিত বন। বন কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ১ হাজার ৭৮০ একর বনভূমিতে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ লাখ ৮০ হাজার ফলদ এবং ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাতাঝরার মৌসুম এলেই স্থানীয়রা বনে আগুন দেয়। ছোট গাছগুলো পুড়ে যাওয়ার পর তা সংগ্রহ করে রান্নার কাজে ব্যবহার করাই আগুন দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য।

দেওবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে যখন গজারিগাছের সব পাতা ঝরে পড়ে, তখন ঝোপঝাড় পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী পাতায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বনের ভেতরে থাকা সব লতাপাতা পুড়ে পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রতিবছর বনে এভাবে আগুন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক (বর্তমানে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ) রহিজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বনে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। হুমকির মুখে পড়ে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আগুন দিয়ে লাকড়ি তৈরির চিরায়ত অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

জানতে চাইলে বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা ইমরান হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনা মৌসুমে বনে আগুন দেওয়া একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে এ বছর সুফল পেতে বাগানের ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় পাহারাদারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles