26.3 C
Dhaka
Thursday, July 31, 2025

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হুমায়রার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

জাহিদ হাসান: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড...

সখীপুরে ডিঅমস্ এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরের ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন...

৮ মাস অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন শিক্ষক দম্পতি

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক...

সাবাস মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা সাবাস!

অন্যান্যসাহিত্যসাবাস মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা সাবাস!

মোজাম্মেল হক সজল: সখীপুরে মুক্তিযুদ্ধের শপথস্তম্ভের পাশে ভূমি অফিস নির্মাণ না করার দাবী তুলেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও অনুভূতি ব্যক্তকরে প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মী এবং সন্তানরা। মুহূর্তের মধ্যেই তা জানান দিয়েছে সখীপুর তথা দেশ বিদেশে। তাঁরা রাস্তা ঘাটে অবস্থান না নিয়ে অভিনব কৌশলে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের দাবী জানিয়েছেন। এজন্যই বলছি সাবাস মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা সাবাস।

উপজেলার বহেড়াতৈলে অবস্থিত শপথস্তম্ভ।

মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধা আমাদের আজন্ম অহংকার। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান, স্থাপনা সংরক্ষণ করে মুক্তিযুদ্ধাদের যোগ্য সম্মান দিয়ে আসছে। মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধা একদিনে অর্জন হয়নি। রক্ত, ইজ্জত ও তাজা প্রাণের বিনিময়ে এ অর্জন। ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা আছে সেই নয় মাসের দীর্ঘ ইতিহাস। সেই ইতিহাসের অতল স্পর্শ করা অন্যতম এক সূর্য পুরুষ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর নাম অনুসারে গঠন করেন বিশাল এক বাহিনী। “কাদেরিয়া বাহিনী”। সেই বাহিনীতে যোগ দেন কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবক শ্রেণির হাজার হাজার জনতা।
১৯৭১ সালের ১০ জুন তাঁরা শপথ নেন উপজেলার বহেড়াতৈল এলাকায়। কুরআন, বাইবেল, গীতা স্পর্শ করে তাঁরা শপথ নেয় এ দেশ স্বাধীন করে তবেই-না বাড়ি ফিরবে।
যুদ্ধ প্রস্তুতির ঐতিহাসিক স্থান বহেড়াতৈল। স্মৃতি বিজড়িত বহেড়াতৈলে ১৯৯৬ সালে একটি শপথস্তম্ভ নির্মাণ করতে উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সাংসদ কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নিদর্শন শপথস্তম্ভটি এখনো অসম্পূর্ণ।
সম্প্রতি তার পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পাকা ভবন। ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এ ভূমি অফিসের ভবন। শপথস্তম্ভের পাশে এটি নির্মাণ করায় যতো আপত্তি। আপত্তি তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধারা ও তাঁদের সন্তানরা। তাঁদের দাবী যুক্তিক মনে করে তাতে সমর্থন দিয়েছে সাধারণ মানুষ।
এই ভূমি অফিসে থাকবে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তির কাগজ। জমি জমার দলিলপত্রগুলো সংরক্ষণের নিশ্চিত নিরাপত্তার প্রয়োজনে নির্মাণ করা হচ্ছে এই ভূমি অফিস। সরকারি জমিতে সরকারি অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস নির্মাণ হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ইচ্ছে করলে শপথস্তম্ভের পাশে ভূমি অফিস নির্মাণ নাও করতে পারে। প্রশাসনের একটি সিদ্ধান্তই পারে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে। শপথস্তম্ভের পাশে ভূমি অফিস নির্মাণ করলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম কষ্ট পাবে। শপথস্তম্ভের সৌন্দর্য ব্যাহত হবে। জনগণের সরকার ও জন বান্ধব প্রশাসন জনগণের প্রয়োজনে যেকোন সময় যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পুনরায় জনমত ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে ভূমি অফিসের জায়গা নির্ধারণ হবে বলে সময়ের প্রত্যাশা।

লেখকঃ প্রভাষক, হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী।

 

এসবি/সানি

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles