হাটখোলা
কবি: জলিল মুহাম্মদ
চতুর্ভুজাকৃতি মাঠের
তিন সারিতে গোলা,
পুবের ধারে শিক্ষা ভবন;
এখানে হাটখোলা।
মধ্যিখানে বটের ছাতা
ঠাণ্ডা রাখে গতর,
বটের গুটা শীতল করে
হরিকালীর উদর।
চায়ের দোকান উষ্ণ থাকে
নায়কের এ্যাকশনে,
আমরা চা খাই, গল্প করি
সহচরের সনে।
আড্ডাঘরে ক্যারাম খেলে
গাঁয়ের কতক ছেলে,
অতর্কিতে জাহুর মারে
কাঙ্ক্ষিত গেম পেলে।
ক্ষুদ্র বণিক পণ্য বেচে
খোলায় আসন পাতি,
হাটের দিনে হাটুইরা ভাই
কিনে আনাসপাতি।
হাটখোলারই সন্নিকটে
মরা নদীর জলে,
কেউবা ধরে টেংরা পুটি
বেচে সকাল হলে।
কেনাবেচা, ফুর্তি করি
সবাই মিলেমিশে,
নিত্যদিনের অভাব মিটাই
হাটখোলাতে এসে।
এসবি/সানি