20 C
Dhaka
Sunday, November 23, 2025

সখীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সখীপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে...

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৮ মাসে...

সখীপুরে প্রবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপা‌টের ঘটনায় থানায় অ‌ভি‌যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইতালী প্রবাসীর বাড়িঘর...

সখীপুরে কেন্দ্র ও ওয়ার্ড দাবিতে মানববন্ধন গ্রামবাসীর

সখীপুরসখীপুরে কেন্দ্র ও ওয়ার্ড দাবিতে মানববন্ধন গ্রামবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুর উপজেলার ৬ নম্বর কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ দুই ভাগে ভাগ করার ফলে সীমানা নির্ধারণে নাগরিক সুবিধা ক্ষুন্ন হওয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সখীপুর-ঢাকা-সাগরদিঘী সড়কের পাগলমোড় এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। স্থানীয় জামাল হাঁটকুড়া, পাগলমোড় পাড়া, ধলীপাড়া ও কুটির শিল্প পাড়ার লোকজন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওই এলাকার পাঁচ শতাধিক লোক অংশ গ্রহণ করে। মানববন্ধন শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ, মহিউদ্দিন, আনোয়ার তালুকদার, রিয়াজ উদ্দিন, শাহআলম ও শামীম আল-মামুন প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা জানান, সম্প্রতি কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে দুই ভাগে ভাগ করে ‘কালিয়া’ ও ‘বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদ’ নামকরণ করে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জামাল হাঁটকুড়া গ্রামকে দুইভাগে করে উত্তর-দক্ষিণ করে কালিয়া ও নবগঠিত বড়চওনা ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। আবার উত্তর অংশকে দুইভাগে ভাগ করে একভাগ যশীহাটি ও অন্যভাগে চাম্বলতলা ভোট কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতি পূর্বে জামাল হাটকুড়া গ্রামটি পুরোনো কালিয়া ইউনিয়নে অন্র্Íভুক্তি ছিল। তারা জানান, প্রায় ৩৫ বছর ধরে আমরা জামাল হাটকুড়া কেন্দ্রে ভোট প্রদান করে আসছি; এখন আমাদের ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা গ্রামবাসী পুরোনো ইউনিয়ন কালিয়াতেই থাকতে চাই। জামাল হাটকুড়া ওয়ার্ড ও ভোট কেন্দ্র চাই। মাত্র কোয়াটার কিলোমিটার দূরত্ব কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সেখান থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে নবগঠিত বড়চওনা ইউনিয়নে নাগরিক সুবিধা পেতে আমাদের কষ্ট হবে; ফলে কালিয়া ইউনিয়নেই অন্তর্ভুক্তি থাকার জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, জনগণের স্বার্থরক্ষা কিংবা নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার্থে তারা হয়তো নানা কর্মসূচি পালন করছে। এটি তাদের যুক্তিসঙ্গত দাবি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেহেতু জনস্বার্থ সংরক্ষণ করার দায়িত্বও আমার সেই দৃষ্টিতে নাগরিক সুবিধা খর্ব হোক সেটি আমিও চাই না। যেকোনো নাগরিক তাদের অধিকার রক্ষায় দাবি-দাওয়া করতেই পারে। আর আমি জনপ্রতিনিধি নাগরিকদের সুবিধার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ বিভাজনের ক্ষেত্রে পরিষদের ও উপজেলা সমন্বয় সভার প্রথম যে রেজুলেশন হয়েছিল তাতে ‘জামাল হাটকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ই কেন্দ্র ও কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদেই জামাল হাটকুড়া গ্রামটি অন্তর্ভুক্তি ছিল। গ্রামবাসীর অধিকারের আন্দোলন সংশ্লিষ্ট উর্ধবতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনা করেই দুইটি ইউনিয়নকে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে বেশির ভাগ জনগণেরই সুবিধা হয়েছে। যেহেতু গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। কিছু মানুষের অসুবিধা হলেও এখন আর কিছু করা নেই বলেও জানান তিনি।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles