
নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে সমিতির সদস্য না হয়েও বহিষ্কারের অপবাদ নিয়ে ঘুরছেন এক ইমাম। হঠাৎ বহিষ্কারের নোটিশ পেয়ে হতবাক হয়েছেন ওই ইমাম ও সমাজবাসী। গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি-সম্পাদক সাক্ষরিত এক লিখিত নোটিশের মাধ্যমে বাসারচালা বাজার দারুস সালাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আনিছুর রহমানকে ইমাম সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়। অথচ ওই ইমাম কখনো ইমাম সমিতিতে ভর্তিই হননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল লতিফ মিয়া অদ্ভূত এক যুক্তি দিয়ে বলেন, ’দেশের অভ্যন্তরে জন্ম নিলেই যেমন দেশের নাগরিক হয়, তেমনি কোনো ইমাম উপজেলার সীমানার ভেতরে ইমামতি করলেই তিনি ইমাম সংগঠনের সদস্য হয়ে যায়। এটি অটোমেটিক প্রক্রিয়া।’
তবে স্থানীয়রা বিষয়টিকে হাস্যকর বলে অবহিত করেছেন। এমন অটোমেটিক প্রক্রিয়ায় সদস্য করা এবং অব্যহতি ও বহিষ্কারের নামে কুৎসা রটানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজবাসী। গত শুক্রবার উপজেলার বাসারচালা বাজার দারুসসালাম জামে মসজিদের সামনে স্থানীয় মুসুল্লিরা এ প্রতিবাদ জানায়।
এ সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল কদ্দুস মিয়ার সভাপতিত্বে সাড়াশিয়া বাসারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কদ্দুস শাওন, সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ জালাল উদ্দিন, মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
রোববার দুপুরে স্থানীয় সাড়াশিয়া বাসারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কদ্দুস শাওন মোবাইল ফোনে বলেন, মূলত ওই সমাজের দুইটি পক্ষের মধ্যে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। সমাজের ১২৬টি পরিবারের মধ্যে ১১৩টি পরিবার ইমামের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এরই মধ্যে ইমাম সমিতির সিদ্ধান্তটি হাস্যকর মনে হয়েছে। তাঁদের সংগঠনের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও ইমামের বিরুদ্ধে বিতর্কীত সিদ্ধান্ত দিয়েছে, এটা ঠিক মনে হয়নি।
ইমাম হাফেজ মাওলানা আনিছুর রহমান বলেন, ১৩ বছর ধরে আমি ওই মসজিদের ইমামতি করছি। জানতে পারলাম আমি নাকি ইমাম সমিতির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে আমি ইমাম সমিতিতে কখনো ভর্তি হইনি এবং আমাকে কখনো ভর্তি হতে বলাও হয়নি। অযথা আমার নামে উপজেলাজুড়ে বদনাম ছড়ানো হয়েছে আমি নাকি বহিষ্কৃত ইমাম। এ নিয়ে কয়েক অনলাইন নিউজ পোর্টালেও সংবাদ ছাপানো হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।
ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মওলানা মো. আবদুল লতিফ মিয়া বলেন, সখীপুরে যে কোন মসজিদে ইমামতি করলেই সে সমিতির সদস্য হয়। ওই সমাজের বিষয়টি মীমাংসা করতে তাঁকে নোটিশ করা হয়েছে, কিন্তু তিনি আসেননি বলে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
–এসবি/সানি