নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গৌরাঙ্গ সরকার নামের ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। তিনি উপজেলার হাতীবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব)। এ ঘটনা শিশুটির চাচা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত দুর্গাপূজার কয়েকদিন আগে বিদ্যালয় ছুটির পর প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার ওই শিশুটিকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দেন। এ সময় তিনি শিশুটিকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাবও দেন। একই সঙ্গে মোবাইলের ভিডিও গানের সঙ্গে শিশুটিকে নাচতে বলেন। ওই দিনের পর থেকে শিশুটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় পরিবারের লোকজন শিশুটিকে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত সোমবার শিশুটি তার পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকারকে আটক করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিক জানান, বিষয়টি জানার পর শিশুটিকে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে কয়েকবার তার বাড়িতে যাই। কিন্তু সে বিদ্যালয়ে আসতে চায়নি।
শিশুটির চাচা বলেন, শিক্ষক হলো বাপের মতো। তাঁরে দিয়া এই রকম আচরণ মানবার পারি নাই। তাই থানায় আইসা মামলা দিছি।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, আমি ওই ছাত্রীর সঙ্গে এ ধরনের কোন আচরণ করিনি। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় যাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্ষাকাল হওয়ায় নৌকা নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। আমরা ধারণা করেছি এই কারণেই সে বিদ্যালয়ে আসছে না।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।