

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
সখীপুর উপজেলার কৈয়ামধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে শ্রণিকক্ষের আস্তর ভেঙে শিক্ষার্থীর ওপর খসে খসে পড়ে। বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় জরাজীর্ণ ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে এখানে চার কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, পুরোনো এ বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এতে অফিস, লাইব্রেরি, শ্রেণিকক্ষসহ আটটি কক্ষের প্রয়োজন হলেও পুরোনো ভবনের মাত্র চারটি কক্ষে পাঠদান চলছে। ভবনের পিলার ফেটে গেছে। বিমের নিচে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছে। অনেক স্থানে ছাদের ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। এতে ভবনটি একেবারেই ক্লাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষ সংকটে স্থানীয় সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে একটি কাঁচা টিনশেডঘর নির্মিত হয়েছে। এতে দুটি কক্ষ করে কোনোভাবে চলছে পাঠদান। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফা বলে, ভবনের ভেতরে বসে ক্লাস করতে ভয় করে। কারণ বাঁশের খুঁটিতে ঠেস দেওয়া বিম যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নাজুক অবস্থার জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সমস্যার বিষয়ে জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে যায়। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয় না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্রে দাশ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত ও তালিকা তৈরি করে জরুরিভাবে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুছ বলেন, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই টেন্ডার করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ শুরু করা হবে।

