সাইফুল ইসলাম সানি: সখীপুর উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিমের হালকা গলা ব্যথা ছিল। গত ৩০ মে রেজাউল করিম তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র মাহবুবকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে কর্মরত বন্ধু আমিনুর তাকে করোনার টেস্ট করাতে উৎসাহ ও পরামর্শ দেন। পরে রেজাউল করিমসহ তার স্ত্রী এবং সন্তানের নমুনা; পরীক্ষার জন্য দিয়ে আসেন। আজ শুক্রবার আইইডিসিআরের রিপোর্টে স্বামী-স্ত্রী দুজনের করোনা নেগেটিভ আসলেও তাদের ৮ বছরের শিশুপুত্র মাহবুবের রিপোর্ট এসেছে পজেটিভ। অথচ ওই শিশুটির মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণই ছিলনা। আজ শুক্রবার এ তথ্য জানান করোনা পজেটিভ শিশু মাহবুবের প্রতিবেশী চাচা আনোয়ার হোসেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়েন উদ্দিন বলেন, ভাইরাসের লক্ষণবিহীন শিশুর দেহে করোনা পজেটিভ হওয়ায় হতবাক হয়েছেন ওই পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা। অনেকেই নমুনার ফলাফল নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহানও শিশুটির মধ্যে করোনার লক্ষণ ছিলনা বলে স্বীকার করেন। তিনি সখীপুর বার্তাকে বলেন, তেমন কোনো লক্ষণ নেই বলেই শিশুটিকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কী ধরনের ওষুধ ব্যবহার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোগীর লক্ষণ বুঝে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে এন্টিবায়োটিক, এন্টি হিস্টামিন ও প্যারাসিট্যামল জাতীয় ওষুধ। তবে সবকিছুই হয় রোগীর লক্ষণ বুঝে। ইতোমধ্যে সখীপুরের সাতজন রোগী সুস্থ্য হয়েছেন বলে তিনি জানান।
–এসবি/সানি