নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে দু’টি ক্লাবের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। দু’টি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সখীপুর থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ও দু’টি পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সখীপুর লোকাল বয়েজ ক্লাব ও স্টার বয়েজ ক্লাবের দুই সদস্যের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব নেয় এফসি-১ ক্লাবের সভাপতি সোহেল শিকদার। ওইদিন রাত দশটার সময় মোটরসাইকেল যোগে সোহেল শিকদার স্টার বয়েজ ক্লাবের সভাপতি মো. রুহুল আমীনকে নিয়ে উত্তরা মোড়ে যান। মোটরসাইকেল থেকে নামার সঙে সঙ্গে সখীপুর লোকাল বয়েজ ক্লাবের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অন্তরের নেতৃত্বে স্টার বয়েজ ক্লাবের সভাপতি রুহুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে রুহুলের দু’হাতের পাঁচটি আঙ্গুল কেটে যায়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রুহুল আমীনের ছোট ভাই রোকন বাদী হয়ে মনোয়ার হোসেন অন্তরসহ এগারোজনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পুলিশ এফসি ক্লাবের সভাপতি সোহেল শিকদার ও অন্তরের শ্যালক সিহাবকে গ্রেপ্তার করেছে।


এদিকে রুহুলের সমর্থকরা শুক্রবার রাত সাড়ে এগারটার সময় মনোয়ার হোসেন অন্তরের ৫নং ওয়ার্ডের বাসায় হামলা করেছে। হামলার সময় তারা বাসার এলইডি টেলিভিশন সুকেজ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। এমসয় হালাকারীরা অন্তরের স্ত্রী ও বোনের গলার চেইন ও নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে যায় বলে অন্তরের স্ত্রী উর্মি অভিযোগ করেন। এ হামলার ঘটনায় অন্তরের মা সৈয়দা মুক্তি বাদী হয়ে স্টার বয়েজ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমান দুলালসহ দশজনকে আসামি করে শনিবার দুপুরে সখীপুর থানায় মামলা করেছে। হামলার আগে অন্তরের সমর্থক দোলনের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে রুহুলের সমর্থকরা। সখীপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ আমির হোসেন বলেন, দুটি ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই সখীপুরের আওয়ামী রাজনীতি অনেকটা ক্লাব নির্ভর হয়ে পড়েছে। ক্লাবগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে বলেও ধারণা করছেন সচেতন মহল।