সাইফুল ইসলাম সানি: মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনী প্রধান ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, জনগণের জমি অধিগ্রহণের মূল্য পরিশোধ করে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করুন। নিরীহ জনগণের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করুন। তা না হলে আমার নামে মামলা করুন, আমি আসামি হতে চাই। শনিবার সন্ধ্যায় সখীপুর উপজেলার সিলিমপুর গ্রামে তাঁর খামার বাড়ির জমির উপর দিয়ে জিটিসিএল -এর গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু করতে গেলে সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ না করে জমির উপর দিয়ে ও ঘরবাড়ি ভেঙে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন। সেখানে বাধা দিতে গেলেই নিরীহ জনগণের নামে মামলা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। উপস্থিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের কাজে বাধা দিচ্ছিনা, আমাদের নায্য পাওনা দাবি করছি। পাওনা পরিশোধ করে কাজ করুন।

উল্লেখ্য, শ্রীপুর থেকে সিরাজগঞ্জ ৬৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ধনুয়া-নলকা (৩০ ইঞ্চি) গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। প্রায় পাঁচ মাস ধরে সখীপুর পৌরসভার ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিমা বংকী অংশে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপনের কাজে বাধা দেন । এ ঘটনায় গত ২০ মে বৃহস্পতিবার গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শামসুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ জনের নামে সখীপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ পরেরদিন শুক্রবার চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাজমুল হোসেন (৩০), খোরশেদ আলম (৫৫), সোহেল রানা (৩০) ও গুলজার হোসেন (৫০)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শামসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, অনেক আগেইজ জমিঅধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জমি মালিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেখান থেকেই টাকা বুঝে নেওয়ার কথা। কিন্তু জমি মালিকরা তা না করে পাইপলাইন স্থাপনে অবৈধভাবে বারবার বাধা দিচ্ছেন। এজন্যে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
–এসবি/সানি