27.2 C
Dhaka
Wednesday, July 30, 2025

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হুমায়রার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

জাহিদ হাসান: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড...

সখীপুরে ডিঅমস্ এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরের ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন...

৮ মাস অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন শিক্ষক দম্পতি

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক...

ড্রাগের চেয়েও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমের আসক্তি মারাত্মক

সখীপুরড্রাগের চেয়েও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমের আসক্তি মারাত্মক

বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মনোবিজ্ঞানী মেহতাব খানম বলেন, সোশাল মিডিয়ার কারণে বিশেষ করে পরিবারের ভেতরেও নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ কিশোর-কিশোরীদের বাবা মায়েরা কিন্তু ভীষণ সংগ্রাম করছেন। শনিবার (১৮ মে) বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকদের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে মানসিক চাপ।

তিনি বলেন, বাচ্চারা রাতের পর রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকছে, পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বুঝতে তা পারছে না। পিতা মাতারা বুঝছে না কিভাবে সন্তানের সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখে সহায়তা করবেন। বাচ্চারা অনেক সময় বলছেন অভিভাবকদের কারণে তাদের কৈশোর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে পড়ালেখার কাজও দেয়া হয়। কিন্তু বাবা মায়েরা তা নিয়ে ভূল বোঝেন। তবে অনেকে রাত জেগে মোবাইলে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যস্ত থাকছে যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয় পড়েছেন অভিভাবকরা।

তিনি বলেন, এখন ছেলে মেয়েদের সম্পর্কগুলো দ্রুত পরিচিরি দিকে যাচ্ছে। সহজেই একজনের সাথে আরেকজনের যোগাযোগ হচ্ছে। এ কারণে বিবাহ বহির্ভ‚ত সম্পর্ক, একাধিক সম্পর্ক-এসবও বেড়ে যাচ্ছে অনেক। অনেক সময় ফেসবুকে এমন কিছু দেখছে যা তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে, হতাশা রয়েছে। ড্রাগের আসক্তির চেয়েও সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে এটা। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। ড্রাগ যখন নেয় একা বা কয়েকজনের সাথে নেয়। কিন্তু যখন অন্য একজন বা একাধিক মানুষের সাথে সম্পর্ক করে, তখন অনেকগুলো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরো বলেন, সোশ্যল মিডিয়া, বন্ধ করা সমাধান নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে আমরা যথেষ্ট শিক্ষা গ্রহণের আগেই সব কিছু হাতের মুঠোয় চলে আসছে। দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে পারছিনা এটির। ওখানে অজস্র টাইম দেয়ার কারণে অন্য সব কিছুতে প্রভাব ফেলছে। মাথা ওটাতেই ব্যস্ত থাকছে। এজন্য যথাযথ শিক্ষার দরকার। অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া দরকার। স্কুলগুলোতে প্যারেন্টিং কর্মসূচি আরও জোরদার করতে হবে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র:আমাদেরসময়.কম

SB/sunny

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles