30.3 C
Dhaka
Tuesday, August 19, 2025

জুলাই ঘোষণা হতে হবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে – আহমেদ আযম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ...

সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জুয়েল রানা (২৫)...

সখীপুরে ছেলের চোখের সামনে মাকে হত্যা করে পালিয়েছে বাবা

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছেলের চোখের সামনে...

নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া স্কুল শিক্ষক‌ মিজানুর সাম‌য়িক বরখাস্ত

বাংলাদেশশিক্ষানারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া স্কুল শিক্ষক‌ মিজানুর সাম‌য়িক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরের লাঙ্গু‌লিয়া উচ্চ বিদ্যাল‌য়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান‌কে সাম‌য়িক বরখাস্ত করা হ‌য়ে‌ছে। বৃহস্প‌তিবার সকা‌লে বিদ্যাল‌য়ের স্টাফ কাউ‌ন্সিলর সভায় তা‌কে সাম‌য়িক বরখা‌স্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিজানুর রহমা‌নের স্ত্রী রু‌মি আক্তা‌রের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় তা‌কে সাম‌য়িক বরখাস্ত করা হ‌য়ে‌ছে ব‌লে ওই বিদ্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নিশ্চত করেছেন। স্ত্রী রু‌মি আক্তার মঙ্গলবার রা‌তে সখীপুর থানায় মামলা কর‌লে পু‌লিশ মিজানুর রহমা‌নকে গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে পাঠায়। মামলা ন‌থিভূক্ত করার তিন ঘন্টার ম‌ধ্যে আদাল‌তে অ‌ভি‌যোগপত্রও দেয় পু‌লিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমি আক্তরের বিয়ে হয়। বিয়ের বিভিন্ন সময় শ্বশুরের কাছ থেকে উপহার ও অর্থ সহায়তা নিয়েও গত কয়েক মাস ধরে মিজানুর রহমান আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে স্ত্রী রুমিকে নির্যাতন করে আসছিলেন। এনিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মীমাংসার জন্য বসা হলে মিজানুর তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করার সম্মতি দেন। কিন্তু তার কিছুদিন পরই মিজানুর তাঁর স্ত্রী রুমিকে তালাক দেন।

তালাকের খবর পেয়ে বুধবার সকালে রুমি আক্তার বাদী হয়ে স্বামীকে একমাত্র আসামি করে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে সখীপুর থানায় মামলা করেন। সকাল ৯ টার দিকে মামলাটি নথিভূক্ত হলে সখীপুর থানার এসআই ফয়সাল আহমেদ তদন্তের দায়িত্ব পান।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান উপজেলার লাঙ্গুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ বলেন, বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এর ৩৫ মিনিট পর আসামিকে গ্রেপ্তার করি। তারপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন, পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সনদ গ্রহণ (এমসি), ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ মামলার সবল কার্যক্রম শেষে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ওই নারী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কাজটি ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে অল্প সময়ে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে এসআই ফয়সাল। সে পুলিশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।

এসবি/সানি

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles