21 C
Dhaka
Thursday, November 20, 2025

সখীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সখীপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে...

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৮ মাসে...

সখীপুরে প্রবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপা‌টের ঘটনায় থানায় অ‌ভি‌যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইতালী প্রবাসীর বাড়িঘর...

বাঁশির সুরে জীবিকা নির্বাহ

সখীপুরবাঁশির সুরে জীবিকা নির্বাহ

 

ইসমাইল হোসেনঃ   

বাঁশিপ্রেমিক হাফিজের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ঘোণারচালা গ্রামে। তার বাঁশির সুর যেন সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বাঁশিতেই তার সুরের মূর্ছনা। সবুজ ছায়া ঘেরা গ্রামীণ জনপদ, বাজার বা অনুষ্ঠানে বাঁশিতে সুর তোলেন হাফিজ উদ্দিন। ৩৫ বছর বয়সী হাফিজ একজন বাঁশিপ্রেমিক। শখের বসে শিখেছেন বাঁশি বাজানো। আর বর্তমানে বাঁশির সুরেই তার জীবন চলে।

হাফিজের বাবা বারেক একজন কৃষক। পরিবারের আর্থিক অসংগতিতে অভাব মাথায় নিয়েই যেন জন্ম নিয়েছেন হাফিজ। দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি তার। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ছোটকাল থেকেই বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এরপরও পরিবারের দারিদ্র্য ঘোচেনি।

হাফিজ ছোট থেকেই বাঁশির প্রতি দুর্বলতা ছিল। কেউ বাঁশি বাজালে মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। প্রতিটি ক্ষণে যেন তার হৃদয়ে বেজে ওঠে বাঁশি। বেড়ে ওঠার পর থেকেই বাঁশি বাজানোর চেষ্টা চালান তিনি। একপর্যায়ে গ্রামের একটি যাত্রাপালা গানের ওস্তাদের কাছে বাঁশি বাজানো শেখেন হাফিজ।

সেই শখের বসে শেখা বাঁশি ঘিরেই চলে তার জীবন। পাড়ার আড্ডায়, চায়ের দোকানে, বিয়ে বাড়ি বা যেকোনো অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজান হাফিজ। বিশেষ করে তাকে বেশি বাঁশি বাজাতে দেখা যায় পৌরশহরের বিভিন্ন অলিগলিতে। বাঁশি বাজিয়ে তিনি বাঁশি বিক্রি করেন। এতে তার আয়ও হয় বেশ। পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বাঁশি বাজিয়ে তিনি বাঁশি বিক্রি করে থাকেন। বিশেষ করে গ্রামীণ কোন অনুষ্ঠানে চোখে পড়ে তাকে। এছাড়া বিভিন্ন সংগীত দলের হয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজান তিনি। এজন্য কিছু পারিশ্রমিক মেলে।

অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করতে গেলে বংশীবাদক হিসেবে কদর থাকে না। এজন্য বাঁশিকেই বেছে নেন জীবিকা হিসেবে। বিভিন্ন ধরনের বাঁশি মেলে তার ভ্রাম্যমাণ দোকানে।

সম্প্রতি পৌর এলাকার ফলপট্টিতে কথা হয় হাফিজের সঙ্গে। জানতে চাই বাঁশি বিক্রি ও বাজিয়ে প্রতিদিন কত টাকা আয় হয়? হাফিজ বলেন, প্রতিদিন তার ৭শ থেকে ৮শ টাকা রোজগার হয়। এই টাকাতেই মা-বাবা ও স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে চলছে সংসার।

হাফিজের ভ্রাম্যমাণ বাঁশির দোকানে ভিড় করেন ক্রেতারা। এ সময় বাঁশিতে সুর তোলার চেষ্টা করেন তারা। আবার ক্রেতাশূন্য দোকানে বসে বাঁশিতে ঠোঁট রাখেন তিনি। ক্রেতা টানতে বাঁশিতে সুর তোলেন। তার বাঁশির সুর বাতাসে ভেসে মুখরিত করে চারপাশ। তিনি প্রায় অর্ধশত প্রকারের সুর তুলতে পারেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles