নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুর উপজেলা শ্রমিক লীগ’র সভাপতি বাচ্চু শিকদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার সকালে সখীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা এরশাদ) সভাপতি আবদুস সামাদ সিকদারসহ ভূক্তভোগী পাঁচ ব্যবসায়ী এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সিকদার বস্ত্রালয়ের মালিক উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা এরশাদ) সভাপতি আবদুস সামাদ সিকদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে সামাদ সিকদার জানান, ২০১২ সালে তিনিসহ মীর শামসোদ্দোহা, মো. রাসেল সিকদার, রাসেল মিয়া এবং আজিজুল হক নামের পাঁচ ব্যবসায়ী সখীপুর বাজারের মসজিদ রোডে “পাঁচতারা” নামের একটি মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন। ২০১৮ সালে ওই মার্কেটের দ্বিতীয়তলার কাজ শুরু করলে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাচ্চু সিকদার, শামছুল হক ও রউফ সিকদার চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। পরে পঁচাত্তুর হাজার টাকা দিয়ে কাজ শুরু করি। কাজ চলমান অবস্থায় নানা পুনরায় ভয়ভীতি দেখিয়ে মীর শামসোদ্দোহার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা এবং ওই মার্কেটের ১ কোটি টাকা মূল্যের দ্বিতীয় তলার ৫টি কক্ষ জোর পূর্বক দখলে নেন তারা। তিনি আরও বলেন- ওই মার্কেটের মালিক রাসেল মিয়ার কাছে আরো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে রাসেল মিয়ার অংশের দ্বিতীয় তলার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি ৫টি কক্ষ দখলমুক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী ওই পাঁচ ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে শনিবার দুপুরে ওই পাঁচ ব্যবসায়ীর করা চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাচ্চু সিকদার, শামছুল হক ও আবদুর রউফ সিকদার। লিখিত বক্তব্যে শামছুল হক বলেন- ওই পাঁচ ব্যবসায়ী আমাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। ওই জমি ছেড়ে দিতে বলায় আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। উভয়পক্ষের সমঝোতা চুক্তিনামা ও আদালতে এফিডেভিট’র মাধ্যমে ওই মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ৩টি কক্ষ আমাদের নিজ খরচে নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শামছুল হক, বাচ্চু সিকদার ও আবদুর রউফ সিকদারের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।