অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে (৫৫) জীবিত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী গ্রাম থেকে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) একটি টিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, দৌলতপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শনিবার রাতে খুলনা থেকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী গ্রামে যায়। তারা রহিমাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তারা এখন খুলনার পথে। খুলনায় পৌঁছালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
রহিমা ‘আত্মগোপনে ছিলেন’ বলে দাবি করেছেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই লুৎফুল হায়দার।
এবিষয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন মরিয়ম। তিনি লিখেছেন, ‘৭১ টিভি এবং প্রথমআলো থেকে আমাকে কল দিয়ে আমাকে জানালো আমার মা’কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার পুলিশ সুপার কল দিয়ে জানালেন আমার ছোট বোনকে আমার মা’কে পাওয়া গিয়েছে। আমার থেকে খুশি এই মুহুর্তে কেউ নেই। আমি এই মুহুর্তে খুলনা যাচ্ছি। ধন্যবাদ সকলকে।’
এর আগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে উদ্ধারের পর দাফন হওয়া এক নারীর লাশকে নিখোঁজ রহিমার বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। লাশ শনাক্তের জন্য শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় পৌঁছান। এরপর উদ্ধারকৃত নারীর পোশাক ও আলামত দেখে দাবি করেন লাশটি তার মায়ের।
ওই দিন ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পোশাক ও অন্যান্য আলামত দেখে মরিয়ম মান্নান দাবি করেছেন লাশটি তার মায়ের। সেখানে তার ডিএনএ সংগ্রহ করে উদ্ধার করা মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
তবে ডিএনএ পরীক্ষা না করে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। যদি ডিএনএ মেলে, তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আলামত সংরক্ষণ করে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান।