নিজস্ব প্রতিবেদক: লন্ডনের লিংকন’স ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছেন সখীপুরের মো. মনজুরুল করিম রাসেল। তিনি লন্ডনের বিপিবি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যারিস্টার হবার প্রফেশনাল ডিগ্রী সফলতার সঙ্গে শেষ করেন ২০২১ সালে এবং তৎকালীন
লিঙ্কন’স ইনের ট্রেজারার সম্মানিত বিচারপতি ডেভিড রিচার্ড এর কাছ থেকে ২৫ নভেম্বর ২০২১ সালে কল টু দি বার সার্টিফিকেট লাভ করেন। ওই দিন লিঙ্কন’স ইন তাঁকে ব্যারিস্টার হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে।
মো: মনজুরুল করিম রাসেল মো. ফায়েজুর রহমান (শাহজাহান আলী) ও মাতা মাহফুজা বেগমের পুত্র। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর পৌরসভার (কচুয়া রোড) ৩ নং ওয়ার্ডে। বর্তমানে পরিবারের সবাইকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। ব্যারিস্টার মো: মনজুরুল করিম রাসেল পড়াশুনা শুরু করেন সখীপুরের আদর্শ শিশু কানন প্রি ক্যাডেট স্কুলে। ছোটবেলা থেকেই ব্যারিস্টার রাসেল বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং সৃষ্টিশীল কাজে উৎসাহী ছিলেন। তৃতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির বৃত্তিসহ সখীপুরের ডিঅমস মেধাবৃত্তি লাভ করেন। নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সখীপুর পাইলট স্কুলে আবদুল হামিদ মাস্টার স্মৃতি: বৃত্তি পরীক্ষায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে প্রথম স্থান লাভসহ বিভিন্ন শ্রেণিতে মেধা বৃত্তি লাভ করেন। সখীপুর পিএম পাইলট থেকে এসএসসি (বিজ্ঞান) ২০০২ সালে, ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে (বিজ্ঞান) ২০০৪ সালে এইচএসসি শেষ করেন, অতঃপর ঢাকার নিউকাসেল ল একাডেমী তে এ লেভেল এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটির কোর্স ডিপ্লোমা ইন ল তে পড়াশুনা শুরু করেন।
আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্য গমন করেন ষ অতঃপর যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১১ সালে এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করেন, ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত লন্ডনের বিভিন্ন ল ফার্মে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি পেশাগত বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন। এরপর লন্ডন মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটি থেকে লিগাল প্রাকটিসের উপর পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি আইনজীবীদের প্রফেশনাল ট্রেনিং দেবার সেরা প্রতিষ্ঠান বিপিবি ইউনিভার্সিটি, লন্ডন থেকে প্রফেশনাল স্কিল কোর্স সম্পন্ন করেন ষটাঙ্গাইলের মধ্যে তিনি প্রথম এ কোর্সটি সম্পন্ন করেন। এরপর ব্যারিস্টার রাসেল ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের সুপ্রিম কোর্ট বা সিনিয়র কোর্টের আইনজীবী হিসেবে (সলিসিটর)
হিসেবে ল সোসাইটি এর প্রেসিডেন্ট থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করেন এবং সুপ্রীম কোর্ট বা সিনিয়র কোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করার সনদ অর্জন করেন। ২০২১ সালে বার -এট- ল এর একাডেমিক কোর্স সম্পন্ন করেন লন্ডনের আইনজীবীদের প্রফেশনাল ট্রেইনিং দেবার সেরা বিশ্ব:বিদ্যালয় বিপিবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং লন্ডনের বিখ্যাত লিঙ্কনস ইন থেকে ব্যারিস্টার হিসেবে কল টু দ্যা বার সম্পন্ন করেন যা যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত দি টাইমস পত্রিকায় ১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়।
ব্যারিস্টার রাসেল ২০১৭ সালে ব্রিটিশ নাগরিত্ব লাভ করেন এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশী দ্বৈত নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের লন্ডন প্রবাসীদের ইমিগ্রেশন বিষয়ে প্রতি মাসের একটা সময় ফ্রী পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও সখীপুর এবং টাঙ্গাইল, লন্ডন প্রবাসীদের বিভিন্ন সময়ে ফ্রি আইনী পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন দেশের প্রতি এবং জন্মভূমির মানুষের প্রতি টান এবং দায়িত্ববোধ থেকে ব্যারিস্টার রাসেল লন্ডনের হোইটচ্যাপেল এলাকায় সুপরিচিত ল ফার্ম ‘কমনওয়েলথ চেম্বার্সে’ আইনের বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে প্রাকটিস করছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশি এবং ব্রিটিশদের পাশাপাশি ইতালিয়ান, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, জার্মান, ফিলিপিন, এশিয়ান, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, আফ্রিকান, ইউরোপিয়ান, এশিয়ান, মধ্যেপ্রাচ্যেসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টস দের আইনী বিষয়ে পরামর্শ এবং জটিল সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন আদালতে সফলতার সঙ্গে মামলায় লড়ছেন এবং পরিচালনা করছেন। হিউমান রাইটস, ইমিগ্রেশন, সিভিল, ফ্যামিলি, কমার্শিয়াল প্রোপার্টি, ওয়েলফেয়ার বেনিফিট সহ আইন বিষয়ে বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে কাজ করছেন এবং অতি দ্রুত সময়ে ক্লায়েন্টসদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক এবং তাঁর স্ত্রী সেন্ট্রাল লন্ডনের অন্যতম বৃহৎ ল ফার্ম লিংকলেটারের সঙ্গে এবং বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে লিগাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ষ ব্যারিস্টার রাসেলের ছোট বোন চিকিৎসক আইরিন লন্ডনে প্রফেশনাল কোর্স করছেন এবং ভবিষ্যতে সফল চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তিনি বাংলাদেশের কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্যারিস্টার রাসেল আইন গবেষণায় এবং লিগাল প্রাকটিসে তার নিরলস ও নিরন্তর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। ব্যারিস্টার রাসেল বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশী প্রবাসীদের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন বিষয়ে ফ্রি আইনি পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করি। মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও দেশাত্মবোধ থেকে তিনি এ কাজ করেন বলে জানান। সারাজীবন যাতে মানুষের সেবা করতে পারেন তার জন্য ব্যারিস্টার রাসেল সকলের দোয়া কামনা করেছেন। রাসেলের বাবা ফায়জুর রহমান (শাজাহান আলী) লন্ডনে বসবাস করেন। তিনিও বিভিন্ন দেশের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবিক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার রাসেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামানা করেছেন।
–এসবি/সানি